আপনি যদি ব্র্যান্ডের
নকল ঘড়ি সমূহ কিনতে করতে না চান বরং একটু
বেশি খরচ করেও আসল ঘড়ি কিনতে করতে চান
তাহলে এ লেখাটি আপনার জন্যেই। এখানে ৪০০০ টাকার মধ্যে এমন পাঁচটি ব্র্যান্ডের ঘড়ি
দেয়া হচ্ছে যা আপনার মনোযোগ কেড়ে নিতে সক্ষম হবে সেই সাথে আপনার কষ্টের উপার্জিত
টাকা হতে ৪০০০ টাকা খরচ করাও ন্যায় মনে হবে।
১. নিবোসি

যারা পাতলা চেইনের ঘড়ি
পরতে পছন্দ করেন তাদের জন্য নিবোসি হতে পারে শীর্ষে রাখার মত একটি ঘড়ি। স্টেইনলেস
স্টিলের চেইন সহজে জং ধরবে না তবে অনেকদিন ব্যবহার করার ফলে চেইনের উজ্জ্বলতা নাও
থাকতে পারে। কিন্তু তা অবশ্যই অন্তত দুই এক বছরের মধ্যে হবে না। নিবোসির ঘড়ি সমূহ
চেইনের মধ্যে ফরমাল। আপনি চাইলে স্যুট টাইয়ের সাথে নিবোসি পরতে পারেন। ঘড়িটির
ডায়লায় বড় তবে পাশে মোটা কম যা আপনি নেভি ফোরসের ঘড়ি সমূহের ক্ষেত্রে বেশি দেখবেন।
ডায়ালের ভেতর সময় উল্লেখের সাথে থাকছে ক্যালেন্ডারও।
নিবোসির ঘড়ি সমূহ
ক্রোনোগ্রাফ , যাদের ক্রোনোগ্রাফের মধ্যে ফরমাল ঘড়ি নিজের সংগ্রহে রাখতে চান তারা
নিবোসির ঘড়ি কিনতে পারেন। ডায়ালের ভেতরে নীল, সাদা , কালো ও গাঢ় নীল তবে এই ঘড়ি
সমূহের চেইন স্টিলেরই তৈরি। তাছাড়া আরেকটি মডেল হয় সেটি সম্পূর্ণ কালো রঙের। ডায়াল
ও চেইন উভয়ই কালো। নিবোসির মূল্য ২৫০০-৩০০০ টাকা। সাথে পাবেন এক বছরের আন্তর্জাতিক
মেশিন ওয়ারেন্টি ও এক বছরের জল-নিরোধী ওয়ারেন্টি। সুতরাং মাত্র ৩০০০ টাকার মধ্যেই
পেয়ে যাচ্ছেন জাঁকজমকপূর্ণ ক্রোনোগ্রাফ নিবোসির আসল ঘড়ি।
২. কারেন

কারেনের ঘড়ি
সমূহ ক্যাজুয়াল বা ফরমাল সব ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যায়। কারেনের ঘড়ি সমূহের ডায়াল
সাদা, নীল ও কালো রঙের মধ্যে হয়। চেইন হয় চৌম্বকীয় (নারীদের জন্য) । অর্থাৎ বেল্টটি ঘুরিয়ে
বেল্টেরই কোনো এক অংশে বসালে চৌম্বকীয় হবার কারনে তা লেগে যায়। কর্পোরেট নারীদের
জন্যে কারেন হতে পারে খুবই ভালো একটি ঘড়ি।
কেননা যাদের বেল্টের ঘড়ি পরতে পছন্দ না বা
বেল্টের ঘড়ি পরতে পরতে বিরক্তি ধরে গিয়েছে এখন নতুন কিছু ব্যবহার করতে চাচ্ছেন তাদের জন্যে
কারেন একটি ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে। এক বছরের মেশন ওয়ারেন্টিসহ চমৎকার ঘড়িটি পেয়ে
যেতে পারেন মাত্র ১৩০০ টাকায়। খুবই হালকা হওয়ার ফলে ব্যবহার করে অনেকেই আরাম পাবে
তাছাড়া একই মূল্যে অন্যান্য ঘড়ি সমূহের তুলনায় ওয়ারেন্টিসহ কারেনের ঘড়ি বেশি
লাভজনক।
৩. ক্যাসিও এডিফেস
ঘড়িটির মূল্য ৪০০০ টাকা। দাম শুনে থমকে গিয়েছেন? থমকে গেলে চলবে না, কারণ ব্র্যান্ডের নাম ক্যাসিও এডিফেইস। নকশা, আকার, ওজন সব মিলিয়ে এটি যারা কর্পোরেট জায়গায় চাকরি করে তাদের কিনতে ক্ষমতার নাগালের মধ্যে সব থেকে ভালো ঘড়ি হবে এই এডিফেইস। যাদের হাত বড় বিশেষ করে তাদের হাতে এই এডিফেইসের ঘড়িগুলো মানাবে। এডিফেইসের ঘড়ি ক্যাসিওর আসল পণ্য। বড় ডায়ালের মধ্যে ঘড়িগুলো ওজনে একটু বেশিই হয়ে থাকে। এই ঘড়ি সমূহ সবগুলোই ক্রোনোগ্রাফ।

অনেকেই ভারী ঘড়ি পেলে সেটিকে বেশ মজবুত ও টেকসই মনে করেন এডিফেইস আপনাদের সেই আসা একশতে একশ ভাগ পূরণ করবে। ঘড়ির চেইনের কথা যদি বলি তাহলে যেহেতু ক্যাসিও ব্র্যান্ডের ঘড়ি তাই চেইনের মান অনেক ভালো। চেইন এর ব্যাস প্রশস্ত , অন্যান্য ঘড়ির তুলনায় বড়ও বটে। ডায়ালের চতুর্দিকে খাঁজ কাঁটা থাকতে পারে তবে সেটা মডেলের উপর নির্ভর করে।
৪. নেভি ফোরস
৪০০০ টাকার ভিতরে যদি আপনি ফরমাল , ক্যাজুয়াল বা সেমি ফরমাল ঘড়ি কিনতে চান তাহলে নেভি ফোরস সেক্ষেত্রে আপনাকে সহযোগিতা করতে পারে। নেভি ফোরসের ঘড়ি সমূহ বেল্ট ও চেইন উভয় ধরনেরই হয়ে থাকে। বেল্ট গুলো কালো ও বাদামী বর্ণের হয়ে থাকে। হাত ঘামালে বা বৃষ্টিতে ভিজলে বেল্টের কোন ক্ষতি হয় না।
চেইন এর ঘড়ি সমূহ বেশ টেকসই। চেইনগুলো স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি। কালো ও গাঢ় নীল রঙের মধ্যে চেইনের ঘড়িগুলো পাওয়া যায়। এই চেইনের ঘড়ি সমূহ বৃষ্টিতে ভিজলে ক্ষতি হয়না। বাসের গেট, বা যেকোনো লোহার তৈরি জিনিসের সাথে ঘষা লেগে চেইনের রঙ বিনষ্ট হতে পারে। তাই প্রতিদিনের ক্ষেত্রে চেইনের ঘড়ি ব্যবহার না করাটাই ভালো।

বেল্টের ঘড়িগুলো সব ফরমাল। এগুলো যেকোনো অফিসে , অনুষ্ঠানে বা কর্পোরেট মিটিং এর সময় পরে যেতে পারবেন। নেভি ফোরসের বেল্টের ঘড়িগুলোর ডায়াল বেশ বড় হয়ে থাকে এবং পাশের দিক থেকেও বেশ প্রশস্ত। ডায়ালের চারপাশের মোটা স্টিলের অথবা সোনালী বর্ণের বর্ডার থাকে। ডায়ালের বেইসটা তে রূপালি বা সোনালী রঙ্গের দাগ কাঁটা ঘড়ির সময় খোদাই করা থাকে। ঘড়িটিতে ঘণ্টা, মিনিট ও সেকেন্ডের কাঁটায় বিভক্ত করা থাকে। এগুলো সবই ক্রোনোগ্রাফ ঘড়ি। ঘড়িগুলোর সাথে পাবেন কার্ডসহ এক বছরের মেশিন ওয়ারেন্টি ও এক বছরের জল-নিরোধী ওয়ারেন্টি। ঘড়িগুলোর মূল্য ২৩০০ থেকে ৩০০০ টাকার মত।
আপনি যদি মনে করেন যে আপনার কাছে কোম্পানির আসল ঘড়ি থাকুক এবং কিছু টাকা বেশি খরচ করে হলেও ওয়ারেন্টিসহ ভালো মানের ঘড়ি আপনার সংগ্রহকে আরো সমৃদ্ধ করুক তাহলে ৪০০০ টাকার ভিতরে এ ঘড়ি সমূহ দেখতে পারেন।
ফিচার ছবি- Watch Stop
0 Comments